ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রেকর্ড ৮১৮টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউরোপীয় নেতারা তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, এই হামলা রাশিয়ার কূটনীতির পরিবর্তে যুদ্ধকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রমাণ।সেই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থনও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইউক্রেনের সামরিক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এই হামলা শুক্রবার রাতে শুরু হয় এবং এতে ৮০৫টি শাহেদ ড্রোন ও সিমুলেটর ইউএভি, ৯টি ইস্কান্দার-কে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৪টি ইস্কান্দার-এম/কেএন-২৩ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৭৫১টি ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হলেও, ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫৬টি ড্রোন ৩৭টি স্থানে আঘাত হানে।
ইউরোপীয় নেতারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, রাশিয়া শান্তির পরিবর্তে যুদ্ধকে বেছে নিচ্ছে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড তুস্ক বলেন, রাশিয়ার কিয়েভের সরকারি ভবনে হামলা আবারও দেখাচ্ছে যে, পুতিনের প্রতি নরম থাকা বা সময় নষ্ট করা কোনো অর্থ রাখে না। ইউএস ও ইউরোপকে অবিলম্বে রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির জন্য বাধ্য করতে হবে।
ইইউ কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তা বলেন, যুদ্ধের জন্য রাশিয়া দায়ী এবং তাদের উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
ইইউ কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ক্রেমলিন আবারও কূটনীতি উপহাস করছে, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে এবং নির্বিচারে হত্যা চালাচ্ছে।
ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের নাগরিকদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন, রাশিয়া যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের পথেই আরো গভীরভাবে নিমজ্জিত হচ্ছে। আমরা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করব।
এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টেন মিচাল, ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটেরি অর্পো, লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী এভিকা সিলিনা ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিখায়েল মার্টিনও হামলাকে ঘৃণ্য আক্রমণ হিসেবে নিন্দা জানান এবং রাশিয়ার ওপর চাপ ও নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।

Discussion about this post