ডেস্ক রিপোর্ট: হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির বৈঠক উত্তপ্ত বাদানুবাদে রূপান্তরিত হয়েছে। এতে একপর্যায়ে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। তবে এই ঘটনার পর সমগ্র ইউরোপজুড়ে, বেশ কয়েকটি দেশের নেতা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাস জানান, এটা স্পষ্ট হয়েছে যে মুক্ত বিশ্বের একজন নতুন নেতা প্রয়োজন।
সামাজিক যোগাযোগমমাধ্যম এক্সে কালাস লিখেছেন, ইউক্রেন মানেই ইউরোপ! আমরা ইউক্রেনের পাশেই আছি। এ ছাড়া জার্মান চ্যান্সেলার ওলাফ শোলজ এক্সে বলেন, ইউক্রেন জার্মানি এবং ইউরোপের ওপর ভরসা রাখতে পারে।
অপরদিকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, ইউক্রেন, স্পেন তোমার পাশেই আছে। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডনাল্ড টাস্ক এক্স’এ বলেন, প্রিয় জেলেনস্কি, প্রিয় ইউক্রেনীয় বন্ধুরা, তোমরা একা নও।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ পর্তুগালে সংবাদদাতাদের বলেন, রাশিয়া এখানে আগ্রাসীর ভূমিকায়, আর তাদের সেই আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেনের মানুষ। এ ছাড়া ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, চেক প্রজাতন্ত্র ও নরওয়েসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের নেতারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার ট্রাম্প ও জেলেন্সকির এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে এমন একটি চুক্তি সই করা, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ‘বিরল’ খনিজ সম্পদ উত্তোলনের সুবিধা পাবে। এই বৈঠকের প্রায় ৪০ মিনিটের সময়ে এই আলোচনার সুর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে যখন জেলেন্সকি ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া আগ্রাসন চালানোর ঘটনাটি উল্লেখ করেন।
তাৎক্ষনিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জেলেন্সকির সমালোচনা করেন এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ আনেন। ভ্যান্স ও ট্রাম্প উভয়ই ইউক্রেনের নেতাকে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে তার দেশের পাওয়া সুবিধার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করার জন্য অভিযুক্ত করেন।
আকস্মিকভাবে ওই বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করে, খনিজ সম্পদের চুক্তি সই হয়নি।

Discussion about this post