ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন জি২০ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য মার্কিন তহবিল বন্ধের হুমকির পর রুবিও বুধবার (৫ ডিসেম্বর) এ ঘোষণা দেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রুবিও লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা খুব খারাপ কাজ করছে। তারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছে এবং জি২০ কে সংহতি, সমতা ও স্থায়িত্বের প্রচারে ব্যবহার করছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রুবিওর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, এটি ইচ্ছাকৃত জমি অধিগ্রহণ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন আইন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিনেন্ট ডোমেইন আইনের অনুরূপ।
আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি জোহানেসবার্গে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত জি২০ সভাপতি থাকবে।
গত রবিবার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার জমি দখল এবং কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি অন্যায় আচরণ করছে। এই বিষয়টি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত দেশটির জন্য মার্কিন তহবিল বন্ধ থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেননি তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সরকার কোনও ব্যক্তিগত জমি দখল করেনি। তাদের লক্ষ্য হলো জনসাধারণের জন্য ভূমির সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় জমির মালিকানা একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয়। উপনিবেশ ও বর্ণবাদী শাসনের সময় কৃষ্ণাঙ্গদের নিজ ভূমি থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। বর্তমানে, শ্বেতাঙ্গদের হাতে দেশের মোট কৃষিজমির প্রায় ৭৫ শতাংশ রয়েছে। বিপরীতে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গরা মাত্র চার শতাংশ কৃষিজমির মালিক। এই বৈষম্য দূর করতে প্রেসিডেন্ট রামাফোসা সম্প্রতি একটি আইন স্বাক্ষর করেছেন, যা জনস্বার্থে সরকারকে ভূমি অধিগ্রহণের অনুমতি দেয়।

Discussion about this post