Print Date & Time : 12 May 2025 Monday 5:27 pm

আলোচনায় বসার আগে যে শর্তে ‘অটল’ জেলেনস্কি

ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউরোপের শীর্ষ নেতারা ইউক্রেনের এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তার আগে তুরস্কে সরাসরি আলোচনায় বসার পালটা প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া।

তবে এ বিষয়ে একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার এক বার্তায় রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তারা যেন ১২ মে থেকে একটা পূর্ণ যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া যদি প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, তাহলে ইউক্রেনও সরাসরি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার সকালেই তুরস্কে বৃহস্পতিবার থেকে সরাসরি আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এর জবাবে মাইক্রো ব্লগিং মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া অবশেষে যুদ্ধ বন্ধ করার চিন্তা করছে, এটি একটি ইতিবাচক লক্ষণ। কিন্তু কোনো যুদ্ধ থামানোর প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো যুদ্ধবিরতি। একেকটা অতিরিক্ত দিনের হত্যাকাণ্ডের কোনো অর্থ নেই’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই রাশিয়া ১২ মে থেকে পূর্ণ, দীর্ঘস্থায়ী ও বিশ্বাসযোগ্য যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দিক, তাহলেই আলোচনায় বসবে ইউক্রেন’।

এদিকে জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাকও আগে যুদ্ধবিরতি চান। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘প্রথমে যুদ্ধবিরতি, তারপর বাকি সবই হবে’।

একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘রাশিয়া যেন শব্দের খেলার মাধ্যমে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ লুকানোর চেষ্টা না করে’।

তার এই বক্তব্যে একমত পোষণ করেছেন ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের কর্মকর্তা আন্দ্রি কোভালেঙ্কোও। তিনি টেলিগ্রামে লেখেন, ‘পূর্ণ যুদ্ধবিরতি জরুরি। রাশিয়াকে এমন কিছু মানতে হবে, যা তারা সবসময় এড়িয়ে যেতে চায়’।

তবে এ নিয়ে এখনো রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী শান্তির জন্য আলোচনা আয়োজনে তুরস্ক সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন আলাপে তিনি এ কথা জানান। এরপর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনালাপেও এরদোগান একই বার্তা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ডেইলি সাবাহ।