ডেস্ক রিপোর্ট: অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর ফিলিস্তিনি সহপরিচালক হামদান বল্লালকে পশ্চিম তীর থেকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা মারাত্মক মারধরের শিকার হন তিনি। ওই তথ্যচিত্রের আরেক সহপরিচালক ইউভাল আব্রাহাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে আব্রাহাম লেখেন, ‘একদল বসতি স্থাপনকারী আমাদের চলচ্চিত্রের সহপরিচালক হামদান বল্লালকে প্রায় হত্যাই করেছিল। তারা তাকে বেধড়ক মারধর করেছে। তার মাথা ও পেটে আঘাত লেগেছে। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় ছিলেন।’
তিনি আরও জানান, ‘হামদান যে অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন, সেটিতে ইসরায়েলি সেনারা ঢুকে পরে এবং তাকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তার কোনও হদিস নেই।’
এ বছরের ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে (অস্কার) সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে জয়ী হয় ‘নো আদার ল্যান্ড’। গাজায় চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে চার ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি আন্দোলনকর্মী তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন। তাদেরই একজন হামদান।
তথ্যচিত্রটি ২০২৪ সালে বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করে।
অহিংসবাদী ইহুদি সংগঠন সেন্টার ফর জিউইস নন–ভায়োলেন্স একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, রাতের বেলা ধুলায় ধূসরিত একটি মাঠে একজন মাস্ক পরা বসতি স্থাপনকারী ওই সেন্টারের দুজন কর্মীর দিকে তেড়ে আসেন। তখন তারা দৌড়ে নিজেদের গাড়ির দিকে আসেন। একজন চিৎকার করে বলছিলেন, ‘উঠে (গাড়িতে) পড়ুন, উঠে পড়ুন!’
তারা গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পাথর ছুড়ে গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলা হয়। গাড়িটা চলতে শুরু করলে চালক বলেন, ‘জানালার কাচ ভেঙে গেছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় মাস্ক পরা আরও ১০ থেকে ২০ জন বসতি স্থাপনকারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত অধিকারকর্মীদের ওপরও হামলা চালায়। তারা পাথর ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গাড়ির জানালা ভেঙে ফেলে এবং টায়ার কেটে দেয়।
ঘটনাস্থলে থাকা অধিকারকর্মী জশ কিমেলম্যান বলেন বাতা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘হামদান বাল্লালকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা জানি না, তিনি এখন কোথায় আছেন।’
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত করছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
খবর : আল জাজিরা