ডেস্ক রিপোর্ট: সদ্য টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া বিরাট কোহলির আয়ের প্রধান উৎস ক্রিকেট। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি এমনিতে তাকে কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছে। বছরে সাত কোটি রুপি বেতন পান তিনি বোর্ড থেকে।
এনডিটিভির তথ্যমতে, কোহলির মোট মূলধন এক হাজার কোটি রুপিরও বেশি। বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রীড়াবিদ তিনি। তার স্ত্রী বলিউড অভিনেত্রী আনুষ্কা শর্মার অর্জিত অর্থ ১,২৫০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে।
বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসাবে মোটা অঙ্কের বেতন ছাড়াও ম্যাচ ফিও নেহায়েত কম নয়। টি-টোয়েন্টির পর সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটও ছেড়ে দেওয়ায় নীল জার্সিতে কোহলি এখন শুধু একদিনের ম্যাচ খেলবেন। এই সংস্করণে প্রতিটি ওয়ানডেতে ম্যাচ ফি পান ছয় লাখ রুপি।
ভারতীয় বোর্ড থেকে পাওয়া বছরে সাত কোটি রুপি বেতন কমবে কোহলির। তাতে অবশ্য কিছু যায়-আসে না। যে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি, এই বেতন কর্তন সিন্ধুতে বিন্দুর মতো
এছাড়া আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড় হিসাবে প্রতি মৌসুমে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয় ১৫ কোটি রুপি। এখানেই শেষ নয়। বহুমাত্রিক ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব এবং বিভিন্ন পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে তার বাজারমূল্য অত্যন্ত চড়া। এসব খাত থেকে কোহলির অর্জিত অর্থের সঠিক তথ্য দিতে পারেনি এনডিটিভি।
আবাসন খাতে কোহলি বিপুল পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন। তার গাড়ি বিলাসিতার চর্চা হয় হরহামেশা। বিলাসবহুল দামি গাড়ি ব্যবহারে তার শখের কোনো সীমা নেই। তবে ক্রিকেটের আদি ফরম্যাটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করায় এ-প্লাস গ্রেডভুক্ত খেলোয়াড় হিসাবে চুক্তিতে থাকছেন না তিনি।
এতে ভারতীয় বোর্ড থেকে পাওয়া বছরে সাত কোটি রুপি বেতন কমবে। তাতে কোহলির কিছু যায়-আসে না। যে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি, এই বেতন কর্তন সিন্ধুতে বিন্দুর মতো।

Discussion about this post