ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বিদেশী দেশগুলোকে শুক্রবার থেকে সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দিল ইসরাইল। একজন সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রেডিও।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেননি ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মার্চ মাসে ফিলিস্তিনি উপত্যকায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এরপর থেকে উপত্যকাটিতে অনাহারে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধরত ইসরাইল মে মাসে অবরোধ তুলে নিয়েছে। তবে হামাসের হাতে সহায়তা পৌঁছানো রোধ করতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দখলদার বাহিনী।
জুলাইয়ের প্রথম দুই সপ্তাহে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ গাজায় তীব্র অপুষ্টির শিকার ৫,০০০ শিশুর চিকিৎসা করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বুধবার বলেন, ত্রাণ সহায়াতার ওপর অবরোধের ফলে গাজা মানবসৃষ্ট গণ-অনাহারে ভুগছে।
’২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এ সময় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
হামাসের হামলার জবাব দিতে ও জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫২৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩১ হাজার ৯৩৪ জন ফিলিস্তিনি।